১. |
প্রকল্পের নাম |
: |
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অস্বচ্ছল ও প্রান্তিক পরিবারের নারী উন্নয়নে গাভী পালন প্রকল্প |
|||||||||||||
২. |
প্রকল্প পরিচালকের নাম |
: |
মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ |
|||||||||||||
৩. |
বাস্তবায়নকারী সংস্থা |
: |
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড |
|||||||||||||
৪. |
প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল |
: |
জানুয়ারি ২০১৮ হতে ডিসেম্বর ২০২০ |
|||||||||||||
৫. |
প্রাক্কলিত ব্যয় |
: |
১২৭৯.০০ লক্ষ টাকা |
|||||||||||||
৬. |
প্রকল্প এলাকা |
: |
|
|||||||||||||
৭. |
প্রকল্প গ্রহণের প্রেক্ষাপট |
: |
বাংলাদেশের অন্যতম অনুন্নত এলাকা পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার জন্য সরকার ১৯৭৬ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড গঠন করার পর থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন করে আসছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব কোনে অবস্থিত তিনটি জেলা যথাঃ রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল গঠিত। বাংলাদেশের প্রায় এক দশমাংশ এলাকা বিভিন্ন উচ্চতার পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত। পার্বত্য এ এলাকায় আবাদযোগ্য মাঠ ফসলী জমি আছে মাত্র মোট জমির ৫%। সমতল জমির অভাবে এখানে ফসল আবাদ সম্প্রসারণের সুযোগ খুবই সীমিত। অন্যদিকে, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে কৃষকগণ তাদের খাদ্যের চাহিদা মিটাতে পাহাড়ের ঢালে অপরিকল্পিত চাষাবাদ করে থাকেন। বাংলাদেশের চিরায়ত চাষাবাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো প্রাণি সম্পদ। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিস্তীর্ণ পাহাড়ে গবাদি পশু পালনের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও এতদঞ্চলের নারীরা অত্যন্ত পরিশ্রমি ও কর্মঠ। পরিবারের পুরুষ সদস্যদের পাশাপাশি নারী সদস্যগণও কৃষিকাজ ও অন্যান্য কাজে সমানভাবে ভূমিকা রাখছে। আর তাই গবাদি পশু পালনে নারীদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে দরিদ্র নারীদের পুনর্বাসন একটি যথাযথ ও পরীক্ষিত উপায় এবং আরও সম্প্রসারনের উপযোগী। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থান ও আবহাওয়া বিবেচনায়, এখানে গাভী পালনের অনেক সুযোগ রয়েছে। দরিদ্র এবং প্রান্তিক নারীদের গাভী পালনে সম্পৃক্ত করা সবচাইতে ভাল বিকল্প। তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল বাংলাদেশের সবচাইতে অনগ্রসর ও বিচ্ছিন্ন এলাকা। পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৫ বছরের সামাজিক অস্থিরতা যা ১৯৯৭ সালের শান্তি চুক্তির মাধ্যমে শেষ হয় এবং এলাকার ভৌগিলিক ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার কারণে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে এই অঞ্চল অনেক পিছিয়ে আছে। এই অঞ্চলের বিদ্রোহের সময়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যপকভাবে বাধাগ্রস্থ হয় যার ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চলা সামাজিক অস্থিরতার ক্ষতি এখনও পূরণ করতে পারছে না। এই দ্বন্ধ পরবর্তী এলাকার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবন যাত্রার মান উন্নয়নসহ সামগ্রিক এলাকার উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ মনযোগ প্রয়োজন। বাংলাদেশে সমন্বিত কৃষি পদ্ধতিতে এই সাব-সেক্টরের অবদান অনস্বীকার্য। গবাদি পশু ও হাস-মুরগী পালন প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের নগদ অর্থ উপার্জন, পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছে। এ সেক্টরের যথাযথ উন্নয়ন পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিশেষত ভূমিহীন দরিদ্র মহিলাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। এ সকল বিবেচনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে “পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অস্বচ্ছল ও প্রান্তিক পরিবারের নারী উন্নয়নে গাভী পালন” শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। |
|||||||||||||
৮. |
মোট সুবিধাভোগীর সংখ্যা |
: |
১,৩০০ জন মহিলা/পরিবার |
|||||||||||||
৯. |
উদ্দেশ্য |
: |
সাধারণ উদ্দেশ্য: প্রকল্পের সামগ্রিক উদ্দেশ্যে হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ১৩০০ টি পরিবারের আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করা। |
|||||||||||||
সুনিদির্ষ্ট উদ্দেশ্য: ক) পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার পারিবারিক আয় বৃদ্ধিকরণ এবং দারিদ্র্য হ্রাসকরণ। খ) উন্নয়নের সুযোগ সম্প্রসারণ এবং পুষ্টি, পারিবারিক খাদ্য নিরাপত্তার উন্নতি সাধন ও নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি গ) দুগ্ধ এবং মাংস উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ। ঘ) গুড়া দুধের আমদানি হ্রাসকরণ এবং মানসম্পন্ন চামড়া ও হাড় রপ্তানী করে বৈদেশিক মুদ্রার আয় বৃদ্ধিকরণ। |
||||||||||||||||
১০. |
প্রকল্পের প্রধান উপাদানসমূহ |
: |
১। ১৩০০ টি ডেইরি শেড স্থাপন; ২। ১৩০০ টি গাভী বিতরণ; ৩। ১৩০ টি বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনে সহায়তা প্রদান; ৪। ১৩০০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ প্রদান। |
|||||||||||||
১১. |
প্রকল্পটির সাথে ভিশন-২০২১, এসডিজি, ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং সরকারের ইশতেহারের সম্পর্ক |
: |
১) ভিশন – ২০২১ ক) দারিদ্র্য বিমোচন খ) খাদ্য ও পুষ্টি |
|||||||||||||
১) এসডিজি: ক) দারিদ্র্য বিমোচন খ) ক্ষুধামুক্ত গ) লিঙ্গ সমতা |
||||||||||||||||
১) ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ক) আয়ের সমতা এবং দারিদ্র্য বিমোচন খ) লিঙ্গ সমতা ও সামাজিক সুরক্ষা গ) টেকসই পরিবেশ |
||||||||||||||||
১) সরকারের ইশতেহার: ক) নারীর ক্ষমতায়ন খ) দারিদ্র্য বিমোচন ও বৈষম্য হ্রাস গ) কৃষি, খাদ্য ও পুষ্টি |
||||||||||||||||
১২. |
প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রমের ছবি |
: |
||||||||||||||
১৩. |
ছোট আকারের ভিডিও ক্লিপ |
: |
ভিডিও |
|||||||||||||
১৪. |
বাস্তবায়ন অগ্রগতি |
: |
এ প্রকল্পের মোট ১,৩০০ সুবিধাভোগী এর মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ৬৭০ জনকে গাভী প্রদান করা হয়েছে। সার্বিক অগ্রগতি ৫১.৫৪%। |